শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯

প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য : টাঙ্গুয়ার হাওড়, নিলাদ্রি, বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা নদী।



বর্ষাকালে ট্যুর প্ল্যান হিসাবে সুনামগঞ্জের হাওড় অঞ্চল হতে পারে পারফেক্ট ট্যুর প্ল্যান এবং তার জন্য সময় হিসাবে দুই দিন ই যথেষ্ঠ। যদিও বা শীতে রয়েছে এখানকার ভিন্ন সৌন্দর্য তবুও শীতকালে পানি না থাকার কারণে ট্রলার,বোট চলতে পারেনা বলে এটা এ অঞ্চলের অফ সিজন বলে বিবেচিত হয়। 

আপনি যদি ময়মনসিংহ থেকে যাত্রা শুরু করেন তাহলে উপরোক্ত স্থানগুলো পরিদর্শনের জন্য  আপনাকে ময়মনসিংহ শহর থেকে স্থলপথে নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, ধর্মপাশা হয়ে মধ্যনগর পর্যন্ত  ১১০ কি.মি. পথ অতিক্রম করতে হবে। তারপর মধ্যনগর ট্রলার ঘাট থেকে ট্রলারে কিংবা স্পিডবোটে করে ৩টি পথের যেকোনো একটি দিয়ে উপরোক্ত স্থানগুলোতে পৌছতে পারবেন। 

আপনি ঢাকা কিংবা ময়মনসিংহ এর পার্শ্বস্থ এলাকা থেকে ট্রেন, বাস, সি.এন.জি বা বাইকে করে মধ্যনগর পর্যন্ত সহজেই পৌছতে পারবেন। এ পথে ট্রেনের শেষ স্টেশন মোহনগঞ্জ । ময়মনসিংহ বা ঢাকা থেকে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন সহ রয়েছে বেশ কয়েকটি লোকাল বা কমিউটার ট্রেন। ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত যে কোনো বাহনে পৌছতে সময় লাগবে ১:৩০ থেকে ২:০০ ঘন্টা। তারপর মোহনগঞ্জ থেকে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট এর পথ মধ্যনগর ট্রলার ঘাট। সকাল সকাল মোহনগঞ্জ থেকেও ট্রলার পাওয়া যায়।

এছাড়া মোহনগঞ্জ এর আগেই ঠাঁকুরাকোণা রেলস্টেশনের অল্প পরে গাছতলা বাজার থেকে বামদিকে একটি রাস্তা আছে সেটি ধরে মধ্যনগর গেলে আরো অনেক শর্টকাটে মধ্যনগর ঘাটে পৌছা যায়। সেক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ যাওয়ার প্রয়োজন পরে না।



বাইকে গেলে মধ্যনগর ঘাটে বাইক রেখে যেতে পারেন, ওখানে সে ব্যাবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে দৈনিক ৫০ টাকা করে দিতে হবে। বাইক নিয়েও যেতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে বাড়তি টাকা গুনতে হবে। তবে আমি মনে করি এর কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ময়মনসিংহ থেকে বাইকে গিয়ে গোদাড়াঘাট এ বাইক রেখে গিয়েছিলাম।




মধ্যনগর ঘাট থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়, টেকেরঘাট, নিলাদ্রি, লাকমাছড়া, বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা নদী :


এই ঘাট থেকে স্পটগুলোতে ( টাঙ্গুয়ার হাওড়,নিলাদ্রি, বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা নদী ) যাওয়ার জন্য তিনটি পথ রয়েছে । একটা মধ্যনগর থেকে ট্রলার বা স্পিডবোটে করে তাহিরপুর, সেখান থেকে বাইকে বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা নদী, নিলাদ্রী। এটাকে যদি ১ নং পথ ধরি, ২নং পথ টাঙ্গুয়ার হাওড় হয়ে টেকেরঘাট নিলাদ্রি ( এ পথে শেয়ারে যাওয়া যায় না ) টেকেরঘাট নিলাদ্রি থেকে বাইক, অটো বা সি.এন.জি করে বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা নদী। আমরা এ দুইবারে এ দুটি পথেই গিয়েছি। ৩নং পথ মধ্যনগর থেকে সরাসরি বাইকে করে, তবে এ পথ অপেক্ষাকৃত বন্ধুর।



ময়মনসিংহ থেকে গাছতলা বাজার হয়ে মধ্যনগর ম্যাপ

কতজন একসাথে যাওয়া উচিত, কিভাবে যাওয়া উচিত : গ্র্রুপে কিংবা ব্যাক্তিগতভাবে এই স্থানগুলোতে যেতে পারবেন। ট্রলারে যেতে চাইলে সবচেয়ে উত্তম ১০জন কিংবা ২০ জনের গ্র্রুপে  যাওয়া। কারণ গ্র্রুপে গেলে মাঝারি কিংবা বড় ট্রলার রিজার্ভ করে যেতে পারবেন। ট্রলারে মধ্যনগর ঘাট থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড় ওয়াচ টাওয়ার হয়ে টেকেরঘাট নিলাদ্রি পর্যন্ত ( ঘুরাঘুরির সময় বাদে ) সময় লাগবে আসা যাওয়া ৪ ঘন্টা। ট্রলার ভাড়া ২০২১ সাল অনুযাুয়ি মাঝারি (রান্নার সিলিন্ডার সহ) ৬০০০ টাকা বড় ১৫০০০ টাকা। তবে দরাদরি সাপেক্ষে। রান্না না করলে সিলিন্ডার ব্যায় বাদ যাবে। ট্রলারে রান্না করলে বাবুর্চি ২ জন এর এক্সট্রা খরচও যোগ হবে। তবে আমার মতে এ ভেজালগুলো না করলেই ভালো। মধ্যনগর বাজার থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারবেন। আবার টেকেরঘাট বাজারে গিয়েও অনেক খাবার হোটেল পাবেন। 

ময়মনসিংহ থেকে বাইকে গেলে সকাল সকাল রওয়ানা হয়ে সকাল ১০ টার মধ্যে মধ্যনগর ঘাটে থাকতে পারলে ১ দিনে সবগুলো স্পট ঘুরে রাত ১০ টার মধ্যে ময়মনসিংহে ফেরা সম্ভব। আমি প্রথমবার তাই করেছিলাম। 

 দ্বিতীয়বার ৮ জনের টিম ছিলাম। ট্রলার ভাড়া করে টেকেরঘাটে রাত্রী যাপন করে পরের দিন ফিরেছিলাম।  হাওড়ে রাত্রি যাপন না করলে হাওড় ভ্রমণের প্রকৃত আনন্দটাই বাদ পরে যাবে। টেকেরঘাট জায়গাটি মেঘালয়ের পাহাড়ঘেষে একেবারে পাদদেশে। রাতে সবগুলো রিজার্ভ ট্রলার ঘাট থেকে হাওড়ে অল্প ভিতরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মেঘালয়ের পাহাড়ের সোডিয়াম লাইটগুলো বেশ লাগে। তা ছাড়াও ছাদে শুয়ে গল্পে গানের রাত্রিটা আপনার অভিজ্ঞতায় থেকে যাবে আমৃত্যু।

মাঝারি ট্রলারে ২০ জন পর্যন্ত যাওয়া যায়, কিন্তু ট্রলারেই রাত্রি যাপন করতে চাইলে মাঝারি ট্রলারে ৮ জন যাওয়াই উত্তম। কারণ ওখানে উপরে নিচে শোয়ার জায়গা হবে সর্বোচ্চ ৮ জনের ই।  বড় ট্রলারে ৩০-৩৫ জন ধরলেও ঘুমানোর জায়গা হবে ১৫-১৬ জনের। 

দিন গিয়ে দিন ফিরে আসতে চাইলে স্পিডবোট সবচেয়ে উত্তম। ৮-১০ জনের গ্র্রুপ হলে ৭-৮ হাজার টাকায় মধ্যনগর ঘাট থেকে স্পিডবোট রিজার্ভ নিয়ে তাহিরপুর। যাওয়া আসা মিলে মাত্র ২ ঘন্টার ব্যাপার । তারপর তাহিরপুর থেকে বাইকে করে শিমুলবাগান, বারিক্কাটিলা, জাদুকাটা হয়ে টেকের ঘাট নিলাদ্রি। অথবা ৪৫ মিনিটে রিজার্ভ নৌকায় ওয়াচ টাওয়ার হয়ে আরো ঘন্টাখানেক সময়ে টেকেরঘাট নিলাদ্রি। সেক্ষেত্রে পরে বারিক্কাটিলা, জাদুকাঁটা, শিমুলবাগান।

গ্র্রুপে না গেলেও বাইকে যেতে চাইলে, কমপক্ষে ২ জন একসাথে যাওয়া উচিত। কারণ ওখানে প্রতি বাইকে ২ জন করে যাওয়া যায়। অন্যথায় বাইকে ১ জন গেলেও খরচ পড়বে একই। 


মধ্যনগর বাজার ঘাট



গ্র্রুপে না গেলে শেয়ার স্পিডবোট কিংবা শেয়ার ট্রলারে যেতে পারবেন তাহিরপুর হয়ে। সেক্ষেত্রে ট্রলার দুই তিন ঘন্টা পর পর একটা শিডিউল অনুযায়ি চলে কিন্তু স্পিডবোট ৮ জন কিংবা ১০ জন হলেই ছেড়ে যায়। স্পিডবোট এর ভাড়া তাহিরপুর পর্যন্ত জন প্রতি ৩০০ টাকা, সময় লাগে ৪০ মিনিট। ‍কিন্তু ট্রলারে স্পিডবোট এর ৪০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ২ ঘন্টা। তাহিরপুর থানা ঘাটে ট্রলার বা স্পিডবোট থামায়। 

 
তাহিরপুর থানা ঘাট

ঘাটের পাশেই ডান দিকে বাইক ভাড়া পাওয়া যায়। বাইক তাহিরপুর থেকে ২৭ কি.মি. দূরে  জাদুকাঁটা নদী, শিমুল বাগান, বারিক্কাটিলা এই ৩ টি স্পট ( সবগুলোই একসাথে, বারিক্কাটিলার নিচেই জাদুকাঁটা নদী, নদীর পাড়েই শিমুল বাগান ) আর সেখান থেকে ২০ মিনিটের পথ নিলাদ্রি টেকেরঘাট ঘুরিয়ে পুনরায় আপনাকে তাহিরপুর ঘাটে পৌছে দিতে ভাড়া নেবে ৫০০ টাকা। পুনরায় মধ্যনগর ঘাটে ফিরতে হবে একই ভাড়ায় ট্রলার বা বোটে।
 
এ পথে  টাঙ্গুয়ার হাওড় দেখতে পাবেন না। ওখানে অনেকগুলো হাওড় থাকলেও টাঙ্গুর হাওড় এর বিশেষ পরিচিতির একটা কারণ আছে। টাঙ্গুয়ার হাওড় এ আসলে মেঘালয়ের পাহাড় আর হাওড় সম্বলিত যে দৃশ্যটি চোখে পড়ে তা দেখতে এককথায় চমৎকার। যা অন্য হাওড় থেকে দেখা যায় না। এ কারণেই আমাদের মনে হয়েছে মধ্যনগর ঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে টাঙ্গুয়ার হাওড় হয়ে অন্য স্পটগুলোতে যাওয়ায় উত্তম। ময়মনসিংহ হয়ে যারা যাবেন তাদের তাহিরপুর এর পথ হয়ে অর্থ্যাৎ ১ নং রুটে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ই নেই। সবগুলো স্পটেই একসাথে যেতে চাইলে ২ নং রুট হয়ে যাওয়াই উত্তম।


টাঙ্গুয়ার হাওড় : টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরণা এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ গ্রামগঞ্জ ও কৃষিজমি। এখানে বিস্তির্ন জলরাশি ছাড়াও রয়েছে পাহাড়, নানা প্রজাতির পাখ পাখালি সহ নানা ধরণের প্রাণী বৈচিত্র এবং গাছ গাছরার সমারোহ।

টাঙ্গুয়ার হাওড়




নিলাদ্রি :

নিলাদ্রি লেক

নিলাদ্রি মেঘালয়ের পাহাড় ঘেষা লেক বিশেষ। এখানে পাথড় তুলতে তুলতে যে গভীরতার জন্ম হয়েছে সেখানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে মনোরম লেক। পাথর কাঁটার বড় বড় ক্রেন এবং পাথর নিয়ে যাওয়ার জন্য যে রেল লাইন তৈরি করা হয়েছিলো ( এখন পরিত্যাক্ত ) তা এখনও রয়েছে এখানে। এটি গোসল করার জন্য উত্তম জায়গা। এই লেকে নৌকায় করে ঘুরতে পারবেন। মাঝখানে দ্বীপের মতো জায়গা তৈরি করা হয়েছে, চাইলে সেখানে গিয়েও বসতে পারেন। নিলাদ্রির সন্ধ্যা বেশ মনোরম, তাবু করে থাকার জন্যও নিলাদ্রি উত্তম জায়গা। নিলাদ্রি থেকে বারিক্কাটিলার পথের মাঝখানের অংশটুকু মেঘালয়ের পাহাড়ঘেষা। পাহাড়ি এ জনপদে ছড়িয়ে আছে আদিবাসীদের গ্রাম।


লাকমাছড়া : 

লাকমাছড়া


এই অঞ্চলের এই স্পটটি ব্যক্তিগতভাবে আমার সবচেয়ে পছন্দের। মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি বড় ছড়া এটি। ছোট বড় পাথড় সমৃদ্ধ এই ছড়ার নেমে আসা পথটির দুইপাশের পাহাড় মেঘালয়ের। দুইটি পাহাড় একটি ছোট ব্রিজ দিয়ে সংযোগ দেয়া। এর পাহাড়ি দৃশ্যও যেমন চমৎকার তেমনি এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশটিও যেনো সাজানো গোছানো। বর্ষায় এটি জলে ভরে যায়, বৃষ্টি না থাকলেও এই ছড়ায় পানি থাকে। এর আশপাশের সবাই এই ছড়ায় স্নানকার্য সারে।
ছড়ার উপড়েই দুই তিনটি অস্থায়ি উন্মুক্ত দোকান। এখানে লেবুর শরবত, ডাব, পিঠা ছাড়াও চিপস্ জাতীয় খাদ্য পাওয়া যায়। গরম কালে সন্ধ্যায়  এখানে বসলে আপনার উঠে আসতে মন চাইবে না।

টেকেরঘাট জেটি ঘাট থেকে সোজা সামনের ছোট টেকেরঘাট বাজারটিতে উঠে বামদিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই লাকমাছড়া। অটো নিয়েও যেতে পারেন।


বারিক্কা টিলা:

বারিক্কাটিলার অর্ধেক অংশ বাংলাদেশের। ১০০ গজ দূরেই দুই দেশের জিরো পয়েন্ট । জিরো পয়েন্ট থেকে ১০০ গজ দূরেই টিলার উপরেই টিলার একাংশে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া। 


বারিক্কা টিলা


আবার  টিলার নিচে মাঝখানে জাদুকাঁটা নদী, নদীর একাংশ বাংলাদেশে অপরাংশ ভারতে। এই নদী হাওড়ের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে। বর্ষায় হাওড় আর নদী মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। নদীকে টুকরা করেছে এখানে মানচিত্রে রাতারাতি কম্পাস দিয়ে তৈরি করা রেডক্লিফ লাইন। আমাদের বাইকের ড্রাইভার জানিয়েছিলো এই টিলাটায় বারেক নামের একজন  প্রথম বাড়ি করে থাকতো, তার নামেই এই টিলার নাম। যদিও এখন এখানে আরো বেশ কয়েকটি বাড়ি আর ছোট দোকান উঠেছে।

জাদুকাঁটা নদী :

জাদুকাঁটা নদী


জাদুকাঁটা নদীর সৌন্দর্য যেমন আপনাকে বিমোহিত করবে আবার তা হাত দিয়ে না ধরতে পারার তৃষ্ণাও আপনাকে তৃষ্ণার্ত করবে। ওপাশের উঁচু পাহাড়গুলো মেঘালয়ের। ওপাশে কিছুদূর পরেই চেরাপুঞ্জি। মন চাইবে নৌকো করে ওপাশটায় গিয়ে পাহাড়টাকে একবার  দেখি, কিন্তু তা তো সম্ভব নয় হাহ ! হা ! দেশভাগের বেদনা আরও একবার আপনার ক্ষতস্থানে নির্মমভাবে রক্ত ঝড়াবে। ছোট ছোট অজস্র নৌকা এখানে সারাদিন কয়লা পাথড় আহরণ করে আহরিত কয়লা দিনশেষে আড়তে নিয়ে বিক্রি করে।



শিমুল বাগান:

শিমুল বাগান


স্থানীয় চেয়ারম্যান এখানে জাদুকাঁটা নদীর পাড়েই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন শিমুল তোলার বাগান। এটাও এখন এখানকার একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। বর্ষার সময়ে শিমুল বাগানে শিমুল না থাকলেও শীতকালে সহস্র লাল ফুলে জাদুকাঁটা নদী আর মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয় এক নৈস্বর্গিক দৃশ্য।

1 টি মন্তব্য:

সোনাদিয়া : আ ডিজার্টেড আইল্যান্ড

 সময়কাল ২০২৪।  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর জনাকীর্ন তিনটি পয়েন্ট ডলফিন মোড় থেকে শুরু। প্রথমটি কলাতলী শেষেরটি লাবণী আর মাঝের পয়েন্টটির নাম সুগন্...